★চুলে শ্যাম্পু :- কন্ডিশনার ব্যবহারের আগে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
তারপর কয়েন বা পয়সার সমান কন্ডিশনার দুই তালুতে ঘষে নিন, তারপর আঙ্গুলের সাহায্যে চুলের মাঝ বরাবর থেকে শুরু করে গোড়া পর্যন্ত ধীরে ধীরে
কন্ডিশনার মালিশ করুন।
★ সঠিক পদ্ধতিতে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে তার কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
মাথায় কন্ডিশনার না মেখে চুলে মাখুন। বিশেষ করে চুলের আগার দিকটায়
নজর দিন বেশি, কারণ চুলের আগার দিকটাই বেশি শুকনো হয়ে যায়। মাথার ত্বকে
কন্ডিশনার একেবারেই মাসাজ করবেন না।
★ নিয়মিত শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার:- মাঝেমধ্যে কোন কারনে কন্ডিশনার না মেখেও
চলে যেতে পারে, কিন্তু সাবধান, এটাই যেন অভ্যেসে পরিণত না হয়!
কন্ডিশনার শ্যাম্পু করা চুলে আর্দ্রতা জুগিয়ে চুল নরম আর উজ্জ্বল করে তোলে।
কন্ডিশনার লাগানো চুলে জট পড়ে কম, তাই আঁচড়ানোও সহজ।
★ অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না:- বেশি বেশি করে মাখা মানেই যে কাজও বেশি হবে,
তা কিন্তু মোটেই নয়! বরং অতিরিক্ত কন্ডিশনার মাখলে চুল নেতিয়ে যায়,
কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলাও মুশকিল হয়ে যায়। অল্প করে কন্ডিশনার নিন যাতে
সমস্ত চুলে মাখা হয়ে যায়, অথচ বাড়তিও না হয়।
★ চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার মাখবেন না:- কন্ডিশনার শুধু লাগাবেন আপনার
চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর, চুলের গোড়ায় নয়।
★ কন্ডিশনার লাগানোর পরে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না:- অন্তত ৩/৫ মিনিট কন্ডিশনার চুলে লাগিয়ে রেখে দিন যাতে চুলের গভীরে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা ঢুকতে পারে।
★ সবশেষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলুন:- চুলে মসৃণ ও কোমল অনুভূতি
না হওয়া পর্যন্ত তা ভালভাবে ধুতে থাকুন।
উপরের বিষয়গলো মেনে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে আপনার চুল হবে ঘন, ঝটহীন, মজবুত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।