বেঁচে থাকার জন্য আমাদের নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হয়। আমাদের হাতের কাছে এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত খেলে ক্যান্সার রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
এদেরকে বলা হয়ে থাকে ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার অর্থাৎ এসব খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। আসুন জেনে নেই, ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে যেসব খাবার।
১. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে অধিক মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন থাকে। অ্যামেরিকার একদল গবেষক জানিয়েছেন, যাদের শরীরে বিটা ক্যারোটিন বেশি থাকে তাদের ফুসফুস, পেট, স্তন এবং কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
বর্তমানে স্তন ক্যান্সার মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এই স্তন ক্যান্সার হতে রেহাই পেতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে পারেন মিষ্টি আলু।কারণ গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব মহিলা প্রতিদিন মিষ্টি আলু খান তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেকেরও বেশি কমে আসে।
তাই আর দেরি না করে ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার মিষ্টি আলুকে রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
২. ব্রকোলি
অবিকল ফুলকপির মত দেখতে কিন্তু ফুলের রঙটা সবুজ হয়ে থাকে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে সালফোরাফেন নামক প্রদাহনাশক উপাদান যা ক্যান্সার কোষ ধংশ করে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বন্ধ করে দেয়।
নিয়মিত ব্রকোলি খেলে স্তন ক্যান্সার, পায়ু পথের ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। তাই প্রতিদিনের খাবার মেনুতে ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার হিসেবে আজই যোগ করুন ব্রকোলিকে।
৩. টমেটো
টমেটো যদিও একটি ফল, আমরা অনেকেই একে সবজি হিসেবে চিনি। শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমান যুগে সারা বছরে টমেটো পাওয়া যায়। টমেটোর গুণাগুণ রয়েছে অনেক, এছাড়াও এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার।
টমেটো ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার হওয়ার কারণ হচ্ছে, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা লাইকোপেন নামে পরিচিত।এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভিতরে অবস্থিত ফ্রি-র্যাডিক্যালকে ধংশ করে। শরীরে ফ্রি-র্যাডিক্যাল বেশি হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এছাড়াও টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন ই থাকে যেগুলো সবসময়ই ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লিপ্ত থাকে এবং ক্যান্সার সেল ধংশ করে।
তাই ক্যান্সার প্রতিরোধক খাদ্য হিসেবে প্রতি দিন না হলেও সপ্তাহে ৪-৫টি টমেটো খাওয়া উচিত।
৪. ফুলকপি
ফুলকপি সাধারণত শীতকালীন সবজি হিসেবে বেশি পরিচিত। ব্রকোলির মতই ফুলকপিতে রয়েছে ক্যান্সারের স্টেম কোষ ধ্বংসকারী সালফোরাফেন নামক উপাদান।
সালফোরাফেন উপাদানটি শুধু ক্যান্সারের স্টেম সেল ধংশ করে তা নয় এই কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের টিউমারের সৃষ্টি প্রতিহত করে এবং টিউমারের বৃদ্ধি বন্ধ করে।
একদল ইউরোপিয়ান গবেষক জানিয়েছেন, যারা ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজি বেশি বেশি খায় তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।
৫. রসুন
বিভিন্ন রোগ সারাতে রসুনের ব্যবহার চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই।
সাধারণ সর্দি কাশি থেকে শুরু করে অনেক জটিল রোগ সারাতেও সক্ষম এই রসুন।
রসুনের গুণাগুণ গুলোর মধ্যে অন্যতম গুণ বা উপকারিতা হচ্ছে, মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এছাড়াও রসুন হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। শুধু কি তাই! রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালাইল সালফার যৌগ যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং শরীরের ভিতরে ক্যান্সার বিরোধী ইমিউন সিস্টেম ডেভেলপ করে।
অ্যামেরিকার একদল গবেষক জানিয়েছেন, প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খেলে পায়ু পথের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
৬. গাজর
শীতকালীন সবজি গাজরের গুণাগুণ রয়েছে অনেক। অনেকগুলো গুণের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি গুণ হচ্ছে এটি একটি ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার।
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা যেকোনো ধরণের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে পারে।
নিয়মিত গাজর খেলে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, শ্বাসনালীর ক্যান্সার, অন্ত্র ক্যান্সার, পাকস্থলী ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
গাজরের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভিতরের ফ্রি র্যাডিক্যালকে ধংশ করে, এই ফ্রি র্যাডিকেল ক্যান্সার কোষ সৃষ্টি করে থাকে।
যুক্তরাজ্যের একদল ক্যান্সার গবেষক জানিয়েছেন, নিয়মিত গাজর কিংবা প্রতিদিন এক গ্লাস পরিমাণ গাজরের জুস পান করলে প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পরিমাণ কমে যায়।
আমাদের দেশে সালাদ হিসেবে গাজরের জনপ্রিয়তা অনেক বেশী, সালাদ কিংবা রান্না যাই হোক না কেন ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার হিসেবে গাজরকে খাবার তালিকায় রাখা উচিৎ।
৭. হলুদ
প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে হলুদের ব্যবহার চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। একটু কেটে গেলে আগের যুগের মানুষ হলুদ লাগিয়ে দিত। ঘা শুকাতে অনেক কার্যকরী এই হলুদ।
হলুলে রয়েছে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ যা প্রায় ১০০ টিরও বেশী রোগ সারাতে পারে। নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, হলুদ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
হলুদে কারকিউমিন ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটিও ক্যান্সার কোষ ধংশ করতে সহায়তা করে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, শুকনো হলুদের থেকে কাঁচা হলুদের উপকারিতা অনেক বেশী।
প্রতিদিনের তরিতরকারিতে হলুদের ব্যবহার আদিকাল থেকেই চলে আসছে। মশলা হিসেবে হলুদের পরিচিতি থাকলেও ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার হিসেবে অনেকের কাছেই অজানা।যেহেতু হলুদের ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে তাই প্রতিদিনের তরিতরকারিতে প্রয়োজনমতো হলুদ ব্যবহার করা উচিৎ।
৮. বাদাম
প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইভাব এবং ভিটামিন ই এর অন্যতম উৎস হচ্ছে বাদাম। প্রায় সব ধরণের বাদামে এই উপাদানগুলো রয়েছে।
বাদামের জনপ্রিয়তা শুধু আমাদের দেশে নয় বরং পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই রয়েছে বাদামের জনপ্রিয়তা। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকায় তা ক্যন্সার প্রতিরোধক খাবার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রতিদিন খাবারের সাথে কিছু পরিমাণ বাদাম খেলে ফুসফুস, কোলন, কিডনিসহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় বলে অ্যামেরিকার একটি গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৯. অলিভ অয়েল
কোলেস্টেরল দুই ধরণের হয়ে থাকে, একটি হচ্ছে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এবং অপরটি হচ্ছে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)।
শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে অভিল অয়েলের কোন তুলনা নেই।এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর প্রচুর দাম হওয়ায় তা রান্নার কাজে ব্যবহার করা না গেলেও সালাদে অল্প পরিমাণ ব্যবহার করা যেতেই পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল শুধু শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় না পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহয়তা করে থাকে।
ক্যান্সার কোষ ধংশ করতে এবং অন্যান্য জটিল রোগ হতে নিরাময় পেতে প্রতিদিনের খাবারে রাখতে পারেন অলিভ অয়েল তবে তেল যেন হয় অপরিশোধিত।
১০. মাছ
মাছে ভাতে বাঙ্গালী হলেও অনেকেই মাছ পছন্দ করেন না। মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে বিশেষ করে সামুদ্রিক এবং তেলযুক্ত মাছে।
এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের কোষ ধংশ করতে সহায়তা করে বলে অ্যামেরিকার একদল গবেষক জানিয়েছেন।
এছাড়াও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড শরীরে অধিক মাত্রায় থাকলে কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমিয়ে দেয়। আবার মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
তাই ক্যান্সার প্রতিরোধক খাদ্য হিসেবে গলার ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত মাছ খাওয়া একান্তই প্রয়োজন।
১১. বেরি জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় অনেকগুলো ফল রয়েছে যেমন, ব্লু বেরি, ব্ল্যাক বেরি, গোজীবেরি, মালবেরি, স্ট্রবেরি, চেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি।
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত বেরি জাতীয় ফল খাওয়া উচিৎ।
১২. লেবু
শরীরকে বিষমুক্ত বা টক্সিনমুক্ত করতে লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রতিদিন হালকা কুসুম গরম পানিতে একটি পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ক্যান্সারের মত রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
ক্যান্সার প্রতিরোধের পাশাপাশি শরীরের ভিতরে জমে থাকা টক্সিনকে শরীর থেকে দ্রুত বের করে দেয়। তবে যাদের অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।
তাই ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার হিসেবে প্রতি বেলা খাবারে লেবু রাখা জরুরী।
১৩. গ্রীন টি
টিউমারের বৃদ্ধি রোধ এবং ক্যান্সারের ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে গ্রীন টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
কারণ গ্রীন টিতে রয়েছে গ্যালোক্যাটেচিন, পলিফেনোলিক যৌগ, ইজিসিজি এবং ক্যাটেচিন যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহয়তা করে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন অন্তত এক বেলা গ্রীন টি পান করা উচিৎ
১৪. মাশরুম
অনেক প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মাশরুম। নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ভিতরে থাকা ক্যান্সার জীবাণু ধংশ করতে সাহায্য করে।
মাশরুমের চপ অথবা বিভিন্ন তরিতরকারীর সাথে খাওয়া যায় এই মাশরুম। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত মাশরুম খাওয়া উচিৎ।
১৫. তরমুজ
তরমুজ অনেক জনপ্রিয় একটি ফল। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ছাড়াও রয়েছে লাইকোপেন নাকম উপাদান যা ক্যান্সার কোষ ধংশ করতে সাহায্য করে।
অ্যামেরিকার একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়মিত তরমুজ খেলে কণ্ঠনালীর ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার সহ কোলন ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১৬. দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
সুপার হিসেবে পরিচিত দুধ হোক তা ছাগলের কিংবা গরুর। দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সালফার এবং ফ্যাট থাকে।
এছাড়াও দুধ থেকে তৈরি খাবার যেমন টক দই, এতে রয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকায় তা শরীরের ভিটামিন ডি শোষণের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয় ফলে নানা ধরণের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খেলে কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওভারিয়ান ক্যান্সার হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার হওয়ার কারণে দুধকে রাখতে পারেন আপনার খাদ্য তালিকায়।
১৭. উজ্জ্বল কমলা রঙের সবজি ও ফল
উজ্জ্বল কমলা রঙের যত সবজি কিংবা ফল রয়েছে সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের ভিতরে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যালকে ধংশ করার মাধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।
উজ্জ্বল কমলা রঙের ফল বা সবজিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, লেবু, কমলা, মিষ্টিকুমড়া, গাজর, মিষ্টি আলু, জাম্বুরা ইত্যাদি।
এসকল সবজি ও ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
উজ্জ্বল কমলা রঙের ফল ও সবজিগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধক খাদ্য হওয়ার কারণে তা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখা যেতেই পারে।
১৮. অর্গানিক মাংস
আমরা অনেকেই অর্গানিক কথাটিকে বুঝতে পারি না। অর্গানিক মাংস বলতে ঐ সকল মাংসকে বলা হয় যেসকল মাংস উৎপাদন হয় কোন প্রকার ক্যামিকেল প্রয়োগ ছাড়াই।
এসব মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ রয়েছে যা শরীরের রক্ত পরিশোধনে সহায়তা করে এবং শরীরে হরমনের ব্যাল্যান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।
আমাদের দেশে হাজার হাজার লোক নতুন করে বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ নিন্ম মধ্যবিত্ত হওয়ায় ক্যান্সারের ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে পারে না ফলে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
তাই আমরা যদি আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন নিয়ে আসি তবে মরণ ব্যাধি ক্যান্সার হতে মুক্তি পেতে পারি। ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে ও শরীরের ভিতরে ক্যান্সার জীবাণু ধংশ করতে প্রতিদিনের খাবারে থাকা উচিৎ ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার।