জন্ডিস কি?জন্ডিস কত প্রকার লক্ষণ এবং জন্ডিসের উপসর্গসমুহ!!!

 


 জন্ডিস কাকে বলে? (Jaundice কি)

রক্তের মধ্যে যদি বিলিরুবিন এর পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয় তখন এই অবস্থাকে মূলত জন্ডিস বলা হয়ে থাকে। বিলিরুবিন কি এবং বিলিরুবিন কীভাবে বৃদ্ধি পায় এ ব্যাপারে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

রক্তের মধ্যে বিলিরুবিন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত? এর উত্তরটা জেনে রাখা আবশ্যক। রক্তের মধ্যে বিলিরুবিন এর স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ০.২ থেকে ১.২ মি.গ্রা./ডে.লি।

অর্থাৎ রক্তে যদি ০.২ মিলিগ্রাম/ডেসি লিটার থেকে ১.২ মিলিগ্রাম/ডেসি লিটার বিলিরুবিন পাওয়া যায় তাহলে তার জন্ডিস হয়নি বলে ধরে নেয়া হয়।

যদি উক্ত মাত্রা ক্রস করে ২, ৩,৪ এভাবে ৮, ১০ পর্যন্ত হয় তবে ধরে নিতে হবে রোগীর জন্ডিস হয়েছে। আসুন এবার জেনে নেয়া যাক, জন্ডিস কত প্রকার ও কি কি?

জন্ডিস কত প্রকার ও কি কি?

জন্ডিসকে সাধারণত তিনভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।

১. হেপাটোসেলুলার জন্ডিস

২. অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস

৩. হিমোলাইটিক জন্ডিস

জন্ডিসের প্রকারভেদ তো জানা হয়ে গেল। এবার আসুন জেনে নেই, হেপাটোসেলুলার জন্ডিস কাকে বলে, হেপাটোসেলুলার জন্ডিস কেন হয়, হেপাটোসেলুলার জন্ডিসের লক্ষণ।

হেপাটোসেলুলার Jaundice কাকে বলে?

হেপাটোসেলুলার শব্দটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে, একটি হল- হেপাটো যার অর্থ হচ্ছে লিভার এবং অপরটি হচ্ছে সেলুলার যার অর্থ হচ্ছে কোষ।

যকৃৎ বা লিভারের কোষে প্রদাহ হলে তাকে বলা হয়ে থাকে হেপাটোসেলুলার জন্ডিস। এখানে আমাদের জেনে রাখা দরকার, প্রদাহ টা আসলে কি জিনিস?

শরীরের কোন অংশে প্রাদাহ বলতে বোঝায়, সে অংশটি লাল হবে, ব্যাথা হবে, ফুলে যাবে, গরম হবে এবং শরীরের সে অংশটির কার্যক্ষমতা কমে যাবে।

আসুন এবার জেনে নেয়া যাক, হেপাটোসেলুলার জন্ডিস এর কারণ কি?

হেপাটোসেলুলার জন্ডিসের কারণ

বেশ কিছু কারণে হেপাটোসেলুলার জন্ডিস হতে পারে। যেমন,

১. অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে

আমরা অনেকেই জানি, দীর্ঘদিন অ্যালকোহল গ্রহণ করলে লিভাবের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং লিভার নষ্ট হয়েও যেতে পারে। 

লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া মানেই হচ্ছে লিভারের কোষের প্রদাহ হওয়া। আর এটাই হচ্ছে হেপাটোসেলুলার জন্ডিসের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।

২. ওষুধের কারণে

আমরা অনেকেই না জেনে না বুঝে বিভিন্ন ধরণের অসুধ সেবন করে থাকি, অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নিজে নিজেই অসুধ গ্রহণ করি।

কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, কিছু কিছু অসুধ আছে যা লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। আর এখান থেকেও হতে পারে হেপাটোসেলুলার জন্ডিস।

৩. ভাইরাস আক্রমনের কারণে

হেপাটোসেলুলার জন্ডিস হওয়ার আরও একটি মূল কারণ হচ্ছে ভাইরাস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন কোন ভাইরাসের কারণে হেপাটোসেলুলার জন্ডিস হয়ে থাকে?

ভাইরাস A, ভাইরাস B, ভাইরাস C, ভাইরাস D, ভাইরাস E, ভাইরাস নন A, ভাইরাস নন B ইত্যাদি দ্বারা লিভার আক্রান্ত হলে হেপাটোসেলুলার জন্ডিস হয়ে থাকে।

জেনে রাখা ভালো, কোন ভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?

  • ভাইরাস A মূলত খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষ করে পানির মাধ্যমে।
  • ভাইরাস B, ভাইরাস C, ভাইরাস D শুধুমাত্র রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়।
  • ভাইরাস E সাধারণত খুব কম দেখা যায় তবে এটিও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়।আসুন তাহলে এবার জেনে নেই, অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস কাকে বলে?

    অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস কি

    অবস্ট্রাকটিভ শব্দটির অর্থ হচ্ছে, প্রতিবন্ধকতা, ব্যাঘাত, বাধা ইত্যাদি। পিত্তরস যে রাস্তা দিয়ে আসে সে রাস্তায় যদি কোন প্রতিবন্ধকতা বা বাধার সৃষ্টি হয় এবং পরিমিত মাত্রায় পিত্তরস আসতে না পারে তাহলে সেই অবস্থা বলা হয়ে থাকে অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস।

    আসুন এবার জেনে নেয়া যাক অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিসের কারণ কি?

    অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিসের কারণ

    ১. পিত্ত নালীতে পাথর

    পিত্ত নালীতে পাথর হলে অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস হতে পারে। কারণ, পিত্তরসের একটা প্রধান কাজ হচ্ছে রক্তের মধ্যে থাকা বিলিরুবিনকে ধংশ করা।

    যদি পিত্ত রস ঠিকমত না আসতে পারে তাহলে বিলিরুবিনের মাত্রা দিনে দিনে বাড়তেই থাকবে।

    ২. প্যানক্রিয়াস ক্যান্সার

    আমরা জানি ক্যান্সার মরণ ব্যাধি। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসার মাধ্যমে কিছু কিছু ক্যান্সার ভালো হয়ে থাকে। অনেক ক্যান্সার আছে যা সাধারণত ভালো হয় না।

    প্যানক্রিয়াসের মাথায় যদি ঘা হয় অর্থাৎ ক্যান্সার হয় তবে এই ঘা টি পিত্ত রসের যাতায়াতের পথে বাধার সৃষ্টি করে যা অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিসের অন্যতম একটি কারণ।

    হিমোলাইটিক Jaundice কি বা কাকে বলে?

    আমাদের রক্তের মধ্যে তিন ধরণের উপাদান থাকে, যেমন লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা এবং প্লাটিলেট।

    প্রতিটি রক্ত কণিকা একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনা থেকেই ভেঙ্গে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু যখন সময়ের পূর্বে লোহিত রক্ত কণিকা ভাঙতে থাকে তাহলে এই অবস্থাকে বলা হয়ে থাকে হিমোলাইটিক জন্ডিস।

    হিমোলাইটিক জন্ডিসের কারণ

    ১. ইরাইথ্রোবন্টাসটোসিস ফিটালিস হলে

    একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় তখন লোহিত রক্ত কণিকা শরীরের সমস্ত অংশে এমকি পেটের মধ্যে থাকা শিশুর শরীরেও অক্সিজেন, লোহা এবং বিভিন্ন পুষ্টি বহন করে।

    এমতাবস্থায় মায়ের রক্তের ধরণের সাথে পেটে থাকা শিশুর রক্তের ধরণ মিলে না গেলে Erythroblastosis Fetalis অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। অর্থাৎ শিশুর শরীরের রক্ত কণিকাগুলোকে ভেঙ্গে ফেলতে পারে।এই অবস্থা মূলত বলা হয় ইরাইথ্রোবন্টাসটোসিস ফিটালিস। আর এই অবস্থার কারণে হিমোলাইটিক জন্ডিস হতে পারে।২. ম্যালেরিয়া হলে

    দেহে ম্যালেরিয়া জীবাণু আক্রমন করলে রক্তের মধ্যে থাকা লোহিত রক্ত কণিকা ভেঙ্গে যায় বা ধংশ হয়ে যায় এর ফলে বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং রক্তাল্পতাও দেখা যায়।

    ম্যালেরিয়া রোগের কারণেও হিমোলাইটিক Jaundice হতে পারে।

    জন্ডিসের লক্ষণ এবং জন্ডিসের উপসর্গসমুহ

    বেশ কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে যা দেখে বোঝা যায় রোগী জন্দিসে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কোন প্রকারের জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছে এটা বোঝার জন্য টেস্ট এর প্রয়োজন হয়।

    আসুন জেনে নেই জন্ডিসের লক্ষণ বা জন্ডিসের উপসর্গগুলো কি কি?

    ১. জন্ডিসের অনেকগুলো লক্ষণের মধ্যে প্রধান লক্ষণ হচ্ছে চোখের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া, প্রসাবের রঙ হালকা হলুদ রঙ হতে পারে। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি হলে প্রসাবের রঙ গাঢ়ও হতে পারে।এখানে একটি কথা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের ফলে প্রসাবের রঙ হলুদ হতে পারে তবে সেটা সব সময় নয়। তাই অনেকে মনে করে থাকেন তার জন্ডিস হয়েছে। ব্যপারতা আসলে এরকম নয়।

    ২. রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা অনেক বেশি হলে (৫-৮ মিলিগ্রাম/ডেসি লিটার হলে) শরীরের চামড়া হলুদ হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আঙ্গুলের নখও হলুদ হয়ে যেতে পারে।

    ৩. রোগী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাবে, শরীরের শক্তি কমে যেতে পারে।৪. জন্ডিসে আক্রান্ত রোগী কোন কিছুই খেতে চাইবে না, খাবারের প্রতি অনীহা চলে আসবে বা অরুচি চলে আসবে। যাকে আমরা বলে থাকি ক্ষুধামন্দা।

    ৫. জন্ডিসে রোগীর লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ হচ্ছে শরীরে জ্বর থাকবে। জ্বরের মাত্রা হালকা থেকে বেশি হতে পারে এবং কাপুনি দিয়েও জ্বর আসতে পারে।

    ৬. জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর আরও একটি প্রধান লক্ষণ হচ্ছে কোন কিছু খেলে তা বমি করে বের করে দেবে। অথবা অতিমাত্রা থেকে স্বল্পমাত্রায় বমি বমি ভাব থাকবে।

    ৭. শরীরে চুলকানি দেখা দিতে পারে। চুলকানির মাত্রা হালকা থেকে তীব্র হতে পারে।

    ৮. লিভার বা যকৃৎ শক্ত হয়ে যাবে যার ফলে শ্বাস প্রশ্বাসের সময় বুকের মধ্য ভাগে ব্যাথার অনুভূতি হতে পারে। বুকে চাপ দিলেও ব্যাথা হতে পারে।৯. জন্ডিসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে আরও একটি লক্ষণ হচ্ছে পায়খানা সাদা হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও অনেক রোগীর ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানাও হতে পারে।

    ১০. হালকা পেট ব্যাথা থেকে শুরু করে এই ব্যাথা তীব্রও হতে পারে।

    তবে মনে রাখা জরুরী, অনেক সময় সবগুলো লক্ষণ একসাথে প্রকাশ নাও পেতে পারে। তবে চোখের রঙ হলুদ এবং প্রসাবের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া সাথে জ্বর এবং বমি বা বমি বমি ভাব থাকা ইত্যাদি লক্ষণগুলো সব থেকে বেশি দেখা দেয়।

    আসুন এবার জেনে নেয়া যাক, জন্ডিস প্রতিরোধে করণীয় কি? বা জন্ডিস কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

    জন্ডিস প্রতিরোধ করার উপায়

    জন্ডিস যেহেতু বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে তাই জন্ডিস প্রতিরোধের উপায়ও ভিন্ন ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক। আসুন জেনে নেই, জন্ডিস প্রতিরোধের উপায়গুলো কি কি?

    ১. ভাইরাস এ এবং ভাইরাস ই জনিত কারণে জন্ডিসে আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের উপায় হচ্ছে খাবার এবং পানি পানে সতর্ক থাকা।

    কারণ এ দুটি ভাইরাস সাধারণত খাবার এবং পানির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই বাইরের খাবার গ্রহণ থেকে এবং পানি পান থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা উচিৎ।

    ২. ভাইরাস ডি, ভাইরাস সি, এবং ভাইরাস বি এই তিনটি ভাইরাসের কারণে জন্ডিসে আক্রান্ত হলে ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব হয়। তবে পুরোপুরি নিরাময় হয় না।

    তাহলে উপায়!, উপায় জানতে হলে জানতে হবে এই ভাইরাসগুলো কিভাবে ছড়ায়? এই ভাইরাসগুলো মূলত রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়। আর অন্য কোন উপায়ে ছড়ায় না।তাই রক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধিক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। সেলুনের ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। সিরিঞ্জ এর মাধ্যমেও ছড়ায় তাই অন্যের শরীরে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ ব্যবহার করা যাবে না।

    এছাড়াও শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেও এই তিনটি ভাইরাস ছড়াতে পারে।৩. হেপাটাইটিস এ ভাইরাস বা বি ভাইরাসের ভ্যাক্সিন গ্রহণের মাধ্যমেও জন্ডিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

    ৪. ভাইরাস বি সাধারণত পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয় তাই কারো শরীরে রক্তের প্রয়োজন হলে অবশ্যই স্ক্রিনিং করে নিতে হবে।

    ৫. অ্যালকোহল গ্রহণ বা যেকোনো ধরণের নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থেকে জন্ডিস প্রতিরোধ করা যায়।

    ৬. যৌন মিলনে সাবধানতা অবলম্বন করা।

    ৭. বিভিন্ন ধরণের কলকারখানার নির্গত দূষিত ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকা।

    জন্ডিস প্রতিরোধ করার উপায়গুলো তো জানা হল। তবে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে সচেতন থাকা। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

    আসুন এবার জেনে নেই, জন্ডিসের চিকিৎসা কি?

    জন্ডিসের চিকিৎসা

    জন্ডিসের প্রথম এবং প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে অবশ্যই কোন ধরণের কবিরাজের কাছে যাবেন না। কি অবাক হয়ে জাচ্ছেন!

    সত্যিই তাই, লিভারে যদি ভাইরাস আক্রমন করে লিভারের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয় তবে এখানে কবিরাজ কীভাবে ঝাড় ফুক করে জন্ডিস তাড়াবে?

    তাহলে কি করবেন!

    ১. অবশ্যই একজন লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। ডাক্তার বিলিরুবিন টেস্ট দেবে এবং কোন ভাইরাস আক্রমন করেছে সেটা যাচাইয়ের এর জন্য একটা টেস্ট দেবে। সেসব করবেন এবং পুরোপুরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অসুধ খাবেন।

    ২. জন্ডিস হওয়া মানেই লিভার অসুস্থ থাকা তাই লিভারকে বিশ্রাম দিতে হবে। এখন কথা হচ্ছে, লিভারকে কীভাবে বিশ্রাম দেয়া যায় বা লিভারের বিশ্রামের প্রয়োজন কেন?সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে, আমরা যেসব খাবার খাই তা আমাদের শরীরের জন্য পারফেক্ট কি না এই কাজটা মূলত লিভার করে থাকে।

    আরও সহজ ভাবে বললে বলা যেতে পারে, আমরা যদি বাসি বা নষ্ট গন্ধযুক্ত খাবার খেতে যাই তাহলে নাকে গন্ধ লাগে, এই সিগ্ন্যালটা মূলত লিভার দিয়ে থাকে।

    ৩. প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে ডাবের পানি জন্ডিসের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তবে হার্টের রোগীর জন্য ডাবের পানি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিৎ নয়।

    কারণ, ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা হার্টের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এখানে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক, শুধু তরল জাতীয় খাবার কেন? বা হালকা রান্না করা খাবার কেন?

    সহজ উত্তর, আপনি যে খাবারই গ্রহণ করেন না কেন সেটার দায়ভার গ্রহণ করে লিভার। অর্থাৎ খাবারটিকে কীভাবে কোন এনজাইম দিয়ে হজম করা যায় এই কাজটি লিভার করে থাকে।তাই আপনি যদি ভারী খাবার, অথবা মশলাযুক্ত খাবার, ঝাল যুক্ত খাবার বেশি বেশি খান তবে লিভারের কাজ বেশি হয়ে যাবে, লিভারকে বিশ্রাম দিতে পারবেন না।

    তাই হালকা রান্না, তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিৎ।

    ৪. অ্যালকোহল কিংবা নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। 

    জন্ডিস কি? জন্ডিস কত প্রকার? জন্ডিসের লক্ষণ এবং জন্ডিস প্রতিরোধের উপায় ও জন্ডিসের চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিলাম। আপনাদের ভালো লাগলে বা উপকারে আসলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং আপনারদের কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন

নবীনতর পূর্বতন