কী-বোর্ড (Keyboard) পরিচিতি
কী-বোর্ডে ৮৪ থেকে ১০১টি বা কোন কোন কী-বোর্ডে ১০২টি কী আছে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কী-বোর্ডকে মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করা যায়।
(১) ফাংশন কী।
(২) অ্যারো কী।
(৩) আলফা বেটিক কী।
(৪) নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কী।
(৫) বিশেষ কী।
ফাংশন কীঃ
কী বোর্ডের উপরের দিকে বাম পার্শ্বে F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে কী গুলো আছে এদরকে ফাংশন কী বলে। কোন নির্দিষ্ট কাজ করা যায় বলে একে ফাংশন কী বলে। যেমন কোন প্রোগ্রামের জন্য help, অথবা কোন প্রোগ্রাম রান করানো ইত্যাদি কাজে এই কী এর ব্যবহার করা হয়।
অ্যারো কীঃ
কী বোর্ডের ডান দিকে নিচে পৃথক ভাবে চারটি কী আছে। কোন কোন কী বোর্ডে উপরের দিকেও থাকে। কীগুলোর উপরে অ্যারো বা তীর চিহ্ন দেওয়া থাকে। যা দিয়ে খুব সহজেই কার্সরকে ডানে, বামে, উপরে এবং নীচে সরানো যায়। এগুলিকে আবার এডিট কীও বলে। কারণ টেক্স এডিট করার কাজেও এ কীগুলো ব্যবহার করা হয়।
আলফা বেটিক কীঃ
কী বোর্ডের যে অংশে ইংরেজী বর্ণমালা A খেকে Z পর্যন্ত অরগুলো সাজানো থাকে সেই অংশকে আলফাবেটিক সেকশন/অংশ বলে।
নিউমেরিক কী বা লজিক্যাল কীঃ
কীবোর্ডের ডানদিকে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা লেখা যে কীগুলো রয়েছে তাকে নিউমেরিক কী বলে। এখানে +, -, *, / প্রভৃতি অ্যারিথমেটিক অপারেটর থাকে। এছাড়াও <, >, = লজিক্যাল অপারেটরগুলো কী বোর্ডে থাকে।
বিশেষ কীঃ
উল্লেখিত কী গুলো ছাড়া কী-বোর্ডের অন্যান্য কী সমূহ কোন না কোন বিশেষ কার্য সম্পাদন করে বলে এদেরকে বিশেষ কী বলা হয়। নিম্নে বিশেষ কী সমূহ সম্পর্কে সংপ্তি বর্ণনা দেওয়া হলো।
Esc : এই কী এর সাহায্যে কোন নির্দেশ বাতিল করতে হয়।
Tab : পর্দায় প্যারাগ্রাফ, কলাম, নম্বর, অনুচ্ছেদ শুরুর স্থান ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
Caps Lock : এই কী ব্যবহার করে ইংরেজী ছোট হাতের ও বড় হাতের লেখা টাইপ করা হয়।
Shift : একই ওয়ার্ডের মধ্যে বা শুরুতে বড় ও ছোট অর টাইপ করতে এই কী ব্যবহার করা হয়। যেমন : Dhaka, Khulna শব্দ দু’টি লিখতে প্রথম অরে শিফ্ট কী চেপে ধরে এবং পরের অর গুলো শিফ্ট কী ছেড়ে দিয়ে লিখতে হবে। আর বাংলা অর বা বর্ণমালা লেখার ক্ষেত্রে অর বিন্যাস্ত কী এর উপরের ও নীচের লেখা টাইপের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শিফ্ট কী এর সাথে ফাংশন কী চেপে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড দেওয়া হয়।
Ctrl : এই কী এর সাথে বিশেষ কী একসাথে চেপে কমান্ড দেওয়া হয়। ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য কীবোর্ডের ডানে ও বামে এই কী ২টি থাকে।
Alt : বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়ার জন্য এই কী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন কমান্ড তৈরী করা যায়।
Enter : কম্পিউটারকে কোন নির্দেশ দিয়ে তা কার্যকর করতে এই কী ব্যবহার হয়। লেখা লেখির জন্য নতুন প্যারা তৈরী করতেও এই কী ব্যবহার করা হয়।
Pause Break : কম্পিউটারে কোন লেখা যদি দ্রুত গতির জন্য পড়তে অসুবিধা হয় তা হলে এই কী চেপে তা পড়া যায়।
Print Screen: কম্পিউটারের পর্দার দৃশ্যত যা কছিু থাকে তা সব প্রিন্ট করত চাইলে এই কী ব্যবহার করতে হয়।
Delete : কোন বাক্য, অর বা কোন লেখাকে মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
Home : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে পাতার প্রথমে আনা হয়।
End : এই কী চাপলে কার্সার বা পয়েন্টার যেখানেই থাকুক না কেন টেক্স বা পাতার শেষে চলে আসবে।
Page Up : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে উপরের দিকে উঠানো হয়।
Page Down : এই কী ব্যবহার করে কার্সারকে নীচের দিকে নামানো হয়।
Insert : কোন লেখার মাঝে কোন কিছু লিখলে তা সাধারণত লেখার ডান দিকে লেখা হয়, কিন্তু এই কী চেপে লিখলে তা পূর্ববর্তী বর্ণের উপরে ওভার রাইটিং হয়। কাজ শেষে আবার এই কী চাপলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
Back Space : কোন লেখার পিছনের অংশ মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
Space Bar : কী বোর্ডের কীগুলোর মধ্যে এই কী টি সবচেয়ে লম্বা কোন বাক্য লেখার সময় শব্দ গুলোর মাঝে ফাঁকা করার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
Num Look : এই কী চাপা থাকলে ডান দিকের কী গুলো চালু হয়।
এছাড়া মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ডে আরও ৪ টি কী থাকে যেমন ঃ
Stand by Mood : এই কী চেপে রাখলে কম্পিউটার চালু থাকবে কিন্তু মনিটর বন্ধ হয়ে যাবে।
Mail key : এই কী চেপে আউটলুক এক্সপ্রেস চালু হয় এবং তা দিয়ে মেইল পাঠানো যায়। তবে ইন্টারনেট চালু থাকতে হবে।
Web key : এই কী ব্যবহার করে সরাসরি ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করা যায়। এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।
Start Menu key: এই কী চেপে ষ্ট্যাট মেনু ওপেন করা যায় এবং প্রয়োজনীয় কমান্ড করা যায়।
কীবোর্ডের ফাংশন কী সমাচার
কীবোর্ডের F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে কী আছে সেগুলোকে ফাংশন কি বলা হয় . এখন আসুন জেনে নেয় এই কী গুলোর কোনটা কি কাজ করে .
কীবোর্ড
F1 : সহায়তাকারী কী হিসেবে ব্যবহৃত হয় . F1 চাপলে প্রতিটি প্রোগ্রামের ‘ হেল্প ‘ চলে আসে .
F2 : সাধারণত কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বদলের ( রিনেম ) জন্য ব্যবহৃত হয় . Alt + Ctrl + F2 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের নতুন ফাইল খোলা হয় . Ctrl + F2 চেপে ওয়ার্ডে প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা যায় .
F3 : এটি চাপলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজসহ অনেক প্রোগ্রামের সার্চ সুবিধা চালু হয় . Shift + F3 চেপে ওয়ার্ডের লেখা বড় হাতের থেকে ছোট হাতের বা প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর বড় হাতের বর্ণ দিয়ে শুরু ইত্যাদি কাজ করা হয় .
F4 : ওয়ার্ডের শেষ কর্মের আবার সঞ্চালিত ( পুনরাবৃত্তি ) করা যায় এ কী চেপে . Alt + F4 চেপে সক্রিয় সব প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয় . Ctrl + F4 চেপে সক্রিয় সব উইন্ডো বন্ধ করা হয় .
F5 : মাইক্রোসফট উইন্ডোজ , ইন্টারনেট ব্রাউজার ইত্যাদি রিফ্রেশ করা হয় F5 চেপে . পাওয়ার পয়েন্টের স্লাইড শো শুরু করা যায় . , খুঁজে প্রতিস্থাপন , উইন্ডো খোলা হয় যেতে ওয়ার্ডের .
F6 : এটা দিয়ে মাউস কারসারকে ওয়েব ব্রাউজারের ঠিকানা লেখার জায়গায় ( অ্যাড্রেসবার ) নিয়ে যাওয়া হয় . Ctrl + Shift + F6 চেপে ওয়ার্ডে খোলা অন্য ডকুমেন্টটি সক্রিয় করা হয় .
F7 : ওয়ার্ডে লেখার বানান ও ব্যাকরণ ঠিক করা হয় এ কী চেপে . ফায়ারফক্সের কাকপদ ব্রাউজিং চালু করা যায় . Shift + F7 চেপে ওয়ার্ডে কোনো নির্বাচিত শব্দের প্রতিশব্দ , বিপরীত শব্দ , শব্দের ধরন ইত্যাদি জানার অভিধান চালু করা হয় .
F8 : অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার সময় কাজে লাগে এই কী . সাধারণত উইন্ডোজ সেফ মোড – এ চালাতে এটি চাপতে হয় .
F9 : কোয়ার্ক এক্সপ্রেস 5.0 – এর মেজারমেন্ট টুলবার খোলা যায় এই কী দিয়ে .
F10 : ওয়েব ব্রাউজার বা কোনো খোলা উইন্ডোর মেনুবার নির্বাচন করা হয় এ কী চেপে . Shift + F10 চেপে কোনো নির্বাচিত লেখা বা সংযুক্তি , লিংক বা ছবির ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করার কাজ করা হয় .
F11 : ওয়েব ব্রাউজার পর্দাজুড়ে দেখা যায় .
F12 : ওয়ার্ডের উইন্ডো খোলা হয় এ কী চেপে হিসাবে সংরক্ষণ করুন. চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল সেভ করা হয় + F12 Shift . এবং Ctrl + Shift + F12 চেপে ওয়ার্ড ফাইল প্রিন্ট করা হয় .