রোগ আরোগ্যে কাঁচা পেঁপের ব্যবহার
১। প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর এবং রাত্তিরে রুটি খাওয়ার পর এক টুকরাে কাঁচা পেঁপে ভাল করে চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস জল খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়— অম্বল ও বদহজমের কষ্ট দূর হয়।
২। ১০ ফোটা করে কাঁচা পেঁপের দুধ বা আঠা প্রতিদিন অল্প জলে মিশিয়ে ১৫ দিন। খেলে দাদ ও চর্মরােগ সারে, কৃমি নাশ হয়।
৩। ২০/২৫ ফোটা কাচা পেঁপের আঠা অল্প চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ১ মাস নিয়ম করে খেলে পিলে রোগ সারে ও পেটের টিউমার এবং বায়ু রোগে খুব উপকার পাওয়া যায়।
৪। দুই চা চামচ কাচা পেঁপের আঠা ২ চা চামচ চিনি মিশিয়ে ৪-৫ সপ্তাহ ধরে দিনে তিনবার করে খেলে পিলের আয়তন ক্রমশ কমে যায়।
৫। দুই চা চামচ পেঁপের আঠায় ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে দুধের সঙ্গে ২০-২২ দিন। খেলে অম্বল ও অজীর্ণ রোগে উপকার হয়।
৬। যে সব মায়েদের সদ্য বাচ্চা হয়েছে তারা কাঁচা পেঁপের তরকারি নিয়মিত খেলে। তাদের স্তনের দুধ বাড়বে।
৭। কাঁচা পেঁপে বা পেঁপের গাছের আঠা ১-২ মাস খাওয়া পুরােনাে অজীর্ণ বো৷ পেটের অসুখে,পুরনো পেটের অসুখ,কোষ্টবদ্ধতা প্রভৃতি রোগের পক্ষে উপকারী
৮। পিলে ও লিভার বেড়ে যাওয়া, তার সঙ্গে জ্বর ও দুর্বলতার ওষুধ হিসেবে দিন ও রাত্তিরে খাওয়া-দাওয়ার পর নিয়মিত ৩-৪ সপ্তাহ ৫/১০ ফোটা করে পেঁপের আঠা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৯। ওষুধ হিসেবে কাচা পেঁপের গুণ পাকা পেঁপের চেয়ে বেশি। পেপটিন বা পেঁপের আঠার গুণ অশেষ।
১০। গর্ভবতী মহিলাদের এবং যাদের মাসিক বেশি হয় তাদের পেঁপে খাওয়া উচিত নয়—কারণ পেঁপে রজঃ (রক্ত) ও ভ্রূণ নিঃসারক।
১১। বড় কাচা পেঁপে চিরে নিয়ে তার নীচে একটি কাপ বা ডিশ রাখুন। এইভাবে দুধ বের করে নিন। এই দুধ বা আঠা তৎক্ষণাৎ রােদুরে শুকিয়ে নিন। এই আঠা গুঁড়াে করে শিশিতে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। গ্যাস্ট্রিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের অসুখে এই ১-সপ্তাহ প্রয়োগে আশ্চর্য ভাল ফল দেয়। পাকস্থলীর দাহ, বায়ু গােলক,ব্রণ, অম্লপিত্ত, বদহজম প্রভৃতি অসুখ এই চূর্ণ নিয়মিত খেলে সেরে যায়।
১২। আধ চামচ পেঁপের দুধে চিনি মিশিয়ে ২ সপ্তাহ খেলে অজীর্ণতা সারে।
১৩। কাঁচা পেঁপের বীজ কৃমিনাশক।
১৪। এই বীজ মেয়েদের ঋতু নিয়মিত করে এবং বেশি খেলে গর্ভপাত হয়।
১৫। পেঁপের পাতা ১ মাস খেলে হার্ট সবল হয় এবং ৩-৪ দিন খেলে জ্বরনাশ হয়।
১৬। পেঁপের পাতা জলে সেদ্ধ করে ৩-৪ সপ্তাহ চায়ের মতাে তৈরী করে খাওয়ালে | হৃদরোগের ভাল ফল দেয়।