চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতি কেমন হবে!!!

 

১) নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন

চাকরির ইন্টার্ভিউ এর প্রশ্ন: নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন

এটা হয়তো চাকরির ইন্টারভিউতে সবচাইতে বেশিবার করা প্রশ্নগুলোর একটি। এটি যেমন প্রত্যেক প্রার্থীর ক্ষেত্রেই ভিন্ন ভিন্ন হয় তেমনি এতে ঐ প্রার্থীর বিষয়ে অনেক কিছু জানাও যায় সহজে। কিন্তু এই প্রশ্নেই অনেক প্রার্থীর ব্যাপারে একটি ভালো বা খারাপ ধারণা তৈরী হয়ে যেতে পারে। 

প্রার্থীর ব্যাপারে জানতে চাওয়া প্রশ্নের উত্তরে আসলে প্রশ্নকারী ঐ প্রার্থীর সকল তথ্য জানতে চায় নি। তাছাড়াও এখানে নিজের ব্যাপারে সবকিছু বলে দেওয়াটাও বিরক্তির সৃষ্টি করে। এইক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঐ চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হতে পারে এধরণের তথ্যগুলো বলা যেতে পারে। যেমন শুধুমাত্র নিজের নাম- ঠিকানা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বলা। এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিখ্যাত ক্যারিয়ার কাউন্সিলরের মতে ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যতের সূত্র অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে প্রার্থীকে তার নিজের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করতে হবে। সে কি কি করতে পারে এটা বর্ণনা করতে হবে। এরপর তার অর্জন, অভিজ্ঞতা বলতে হবে এবং শেষে এই তার স্বপ্ন (যদি সেটি এই চাকরি বিষয়ক হয় শুধুমাত্র তাহলে) বলতে হবে।

২) আপনি এই কোম্পানিতে কেন চাকরি করতে চান?

এটি ইন্টারভিউ-এর খুবই সাধারণ একটি প্রশ্ন হলেও এর উত্তর থেকে একজনকে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে সহজেই আলাদা করা যায়। এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই অন্যান্যদের থেকে আলাদা হতে পারে এভাবে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। এই প্রশ্নের উত্তরে প্রার্থীকে অবশ্যই অন্যান্য কোম্পানিকে খারাপ প্রমাণ করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। বরং যে কোম্পানির চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে হবে তার অন্যন্য কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করাটা এক্ষেত্রে ভালো একটা প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও এক্ষেত্রে কিভাবে কোম্পানিটি বড় হয়েছে তা থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার বিষয়টিও বলা যেতে পারে। 

কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক গুলো বিষয়ে কোম্পানিটি পছন্দ এধরনের মনোভাব প্রকাশ না করাটাও উত্তম। তার বদলে যেকোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপরে ফোকাস করে উত্তরটি দিলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রতি একটি ভালো ধারণা সৃষ্টি হয়।

৩) আপনি এই চাকরিটার ব্যাপারে কিভাবে জানতে পেরেছেন?

এই প্রশ্নটি একজন প্রার্থীর চাকরিটির ব্যাপারে আগ্রহ জানার জন্যই সাধারণত করা হয়। এক্ষেত্রে চাকরিটির ব্যাপারে যদি আপনি কোন বন্ধু বা পরিচিত কর্মকর্তার মাধ্যমে জেনে থাকেন তবে তা উল্লেখ করুন। যদি কোন জব পোর্টালে বিজ্ঞাপন থেকে জেনে থাকেন তাও উল্লেখ করুন। এবং একইসাথে কেন এটিই আপনার চোখে পড়েছে সেই ব্যাপারে কিছু বলুন। এক্ষেত্রে কোম্পানির বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা উচিত যা প্রার্থীর কোম্পানির ব্যাপারে আগ্রহ থাকার বিষয়টিকে ফুটিয়ে তোলে।

৪) আমরা কেন আপনাকেই চাকরিটা দিব?

চাকরির ইন্টার্ভিউ এর প্রশ্নঃ আমরা কেন আপনাকেই চাকরিটা দিব?

এটি উপরের প্রশ্নগুলোর মত হয়তোবা অত বেশীবার ইন্টারভিউতে করা হয় নি, কিন্তু এই প্রশ্নটি একজন প্রার্থীর জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ তৈরী করতে পারে।

এই প্রশ্নটির উত্তরে একজন প্রার্থী সহজেই তার নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা জানাতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই যেসকল দক্ষতা ও বৈশিষ্ট্য ঐ নির্দিষ্ট চাকরির জন্য প্রয়োজন তাই শুধুমাত্র বর্ণনা করতে হবে। এবং এগুলো কিভাবে ঐ কোম্পানিকে সাহায্য করতে পারে তাও উল্লেখ করে নিতে হবে। এই প্রশ্নে অবশ্যই একজন প্রার্থীকে প্রমাণ করতে হবে যে, সে এই কাজের জন্য যোগ্য, অন্যদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে এবং অন্যান্য অনেক প্রার্থীর তুলনায় সে এই কোম্পানির জন্য বেশী যোগ্য।

৫) আপনার কোন বদ অভ্যাস আছে কি, যা আপনি ত্যাগ করতে চান?

এই প্রশ্নটির ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন যে প্রশ্নকর্তা প্রার্থীর খারাপ দিকগুলোর ব্যাপারে জানতে চাইছে। কিন্তু কার্যত এই কারণে এই প্রশ্নটি করা হয় না। এই প্রশ্নটির মূল উদ্দেশ্য থাকে প্রার্থী নিজের ব্যাপারে কতখানি জানে তা জানা, প্রার্থীর সততা যাচাই করা ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো পূরণ করতে পারলেই এই প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্নকর্তাকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব।

নিজের দূর্বলতার প্রশ্নের উত্তরে কখনোই “আমার কোন দূর্বলতা নেই” অথবা “আমি আমার দূর্বলতার সম্পর্কে জানি না” এধরণের উত্তর দেওয়া যাবে না। আবার প্রশ্নের উত্তরে অসংখ্য দূর্বলতার কথা বলতে বলতে নিজেকে অরক্ষিত প্রমাণও করা যাবে না। এই প্রশ্নের উত্তরে খুবই সাবধানতার সাথে নিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দূর্বলতার ব্যাপারে বলতে হবে। যেগুলো আপনি ঠিক করতে চাইছেন অথবা চেষ্টা করছেন। এছাড়াও এখানে যে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন সে বিষয়ক কোন ছোট দূর্বলতা যা ঠিক করা সম্ভব এবং আপনি চেষ্টা করছেন তার জন্য সেটিও উল্লেখ করা যায়। এতে ঐ চাকরির প্রতি প্রার্থীর আগ্রহ রয়েছে তা প্রমাণ করা সহজ হয় অনেকাংশেই। এসব ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে মানুষের সামনে কথা বলতে না পারা, মানুষকে খুব সহজে বিশ্বাস করা বা এজাতীয় কোন দূর্বলতা থাকলে জানানো যেতে পারে। 

৬) আপনার আগের চাকরিটা ছেড়ে দেওয়ার কারণ কি?

চাকরির ইন্টার্ভিউ এর প্রশ্ন: আপনার আগের চাকরিটা ছেড়ে দেওয়ার কারণ কি?

এটি সাধারণত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন ব্যক্তি ইন্টারভিউ দিতে উপস্থিত হলেই করা হয়। এটি বেশ কঠিন ও ঝামেলার একটি প্রশ্নই বলা যায়। এই প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী একজন প্রার্থীর প্রতি কর্মকর্তাদের মতামত পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু একই সাথে এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই যথাসম্ভব সত্য হতে হয়। 

সেকারণে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কিছুটা কৌশলী হওয়া প্রয়োজন। এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই প্রশ্নকারীর মনে কোন নেতিবাচক প্রভাব আনা যাবে না। তাই এক্ষেত্রে যদি কোন কোম্পানি পছন্দ না হওয়ায় সেই চাকরি ছেড়ে দিতে হয় তাহলে সেই বিষয়টি কিছুটা গোপন রাখাই শ্রেয়। বরং এক্ষেত্রে আগের কোম্পানিটির চাইতে কেন বর্তমানে চাকরির আবেদন করা কোম্পানিটি ভালো তা বর্ণনা করতে হবে। এছাড়া যদি বেতন সংক্রান্ত কোন সমস্যার কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়। তাহলে সেই বিষয়টি যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।

এছাড়াও এক্ষেত্রে বহিষ্কারের প্রসঙ্গও চলে আসতে পারে সামনে কোন কোন ক্ষেত্রে। অনেক সময়ই কোন কোম্পানির পুনর্গঠনের কারণে অনেক চাকরির পদ বাতিল হয়ে যায়। সে সব পদের চাকরিজীবীদের ছাঁটাই করে দেওয়া হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই। এরকম ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রশ্নকর্তাকে সরাসরিই বর্ণনা করা যেতে পারে। 

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অনেক চাকরিজীবীকে কাজের অন্যান্য কারণেও বহিষ্কার করা হতে পারে। সেসকল ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখাটাই আসলে শ্রেয়। এরকম পরিস্থিতিতে সত্যিটার পাশাপাশি সেখান থেকে প্রার্থী কি কি শিখেছে তা যথাযথভাবে বর্ণনা করাটাও জরুরি। বর্তমান চাকরির বাজারে এধরণের ঘটনা ঘটা খুবই স্বাভাবিক। সেখান থেকে পাওয়া শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকেই চাকরিক্ষেত্রে অনেক বেশী দাম দেওয়া হয়ে থাকে।

৭) আপনি কাজের চাপের মাঝে পরে গেলে সেটি কিভাবে মোকাবেলা করবেন?

এই প্রশ্নের উত্তরেও মধ্যপন্থা অবলম্বন করা জরুরি। এই প্রশ্নের উত্তরে কখনোই বলা উচিত না যে আমি চাপ সহজেই মোকাবেলা করে ফেলতে পারি। অথবা এটাও বলা উচিত না যে আমি চাপযুক্ত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারি না। এটি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করতে পারে, যা প্রশ্নকর্তার মনে প্রার্থীর সম্বন্ধে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এরকম প্রশ্নের উত্তর হিসেবে চাপ মোকাবেলা করার জন্য কি কি করতে পারেন আপনি তা বর্ণনা করা উচিত। যেমন মেডিটেশন করা, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে হাঁটা এগুলো খুব ভালো কিছু উত্তর হতে পারে। এছাড়াও প্রার্থী চাইলে আবেদন করা চাকরিটির সাথে সম্পর্কিত কোন ধরনের চাপের কথা উল্লেখ করে সেটি মোকাবেলার পদ্ধতিও বর্ণনা করতে পারে। এটি প্রশ্নকর্তার মনে একটি ভালো ধারণার তৈরী করে।

চাকরির ইন্টারভিউতে ভালো করার কিছু টিপস

চাকরির ইন্টারভিউতে প্রশ্নকর্তারা সবগুলো প্রশ্নের উত্তর প্রার্থী কি দিচ্ছে তা দেখা ছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করে থাকেন। যেমন- প্রার্থীর আত্মবিশ্বাস, বাচনভঙ্গি, স্মার্টনেস ইত্যাদি। এসব বিষয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডের কর্মকর্তাদের নজর কাড়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়। এ বিষয়ক কতগুলো টিপস দেওয়া হচ্ছে।

১) কোম্পানির ব্যাপারে ঠিকমতো গবেষণা ও পড়াশোনা করুন

একটি চাকরির ইন্টারভিউতে হয়ত কোম্পানির ব্যাপারে সরাসরি কোন প্রশ্ন করা হয় না, কিন্তু কোম্পানির ব্যাপারে সবকিছু জানা থাকলে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই সহজ হয়ে যায়। যে কোম্পানির ইন্টারভিউ  হচ্ছে, সে কোম্পানির সম্পর্কে বিষদভাবে জানা থাকলে তারা কি ধরনের প্রার্থীকে চাকরি দিতে চাইছে তা সম্পর্কেও জানা যায়। বর্তমানে প্রায় সকল কোম্পানি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য অনলাইনেই পাওয়া যায়, এবং প্রত্যেকেরই উচিত আবেদন করার পূর্বেই অনলাইন থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ভালো ভাবে জেনে নেওয়া। ফলে সে অনুযায়ী প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে চাকরী পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হয়।

২) যে খাতে চাকরি করতে হবে, সেই খাতটি সম্পর্কে বিষদভাবে জানুন

একজন চাকরিদাতা তাকে কি করতে হবে তা আগে থেকেই জানা একজন প্রার্থীকে সবসময়ই বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই কোথাও চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলে সেই চাকরির খাতটির ব্যাপারে যথাসম্ভব জেনে যাওয়া ভালো। এর ফলে ঐ খাতে কোন কোন কোম্পানিতে কি কি কাজ করতে হয়, কাদের বেতন কত এসব বিষয়ে জানা যায়। ফলে ইন্টারভিউতে অনেক প্রশ্নের উত্তর সহজেই দেওয়া যায়।

৩) নিজেকে প্রচার করার মত কিছু বিষয় খুঁজে বের করুন

প্রতিটি চাকরির ইন্টারভিউতে যাওয়ার সময় অবশ্যই সেই চাকরির সাথে সম্পর্কিত নিজের কিছু বৈশিষ্ট্য জেনে প্রস্তুতি নিতে হবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য। প্রশ্নকর্তা ইন্টারভিউ-এর বিভিন্ন সময়ই বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন করতে পারেন যাতে নিজের ঐ অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করার সুযোগ আসতে পারে। সেরকম পরিস্থিতিতে ইন্টারভিউ বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে নিজের বৈশিষ্ট্যগুলো জানিয়ে নিজেকে অন্যান্য অনেক প্রার্থীর তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করা সম্ভব হয়।

৪) প্রশ্নকর্তা কোন প্রশ্ন কেন এবং ঠিক কি জানতে করেছেন তা চিন্তা করে উত্তর দিন

ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় একই প্রশ্নের উত্তর অনেকভাবেই দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অবস্থা ভেদে প্রশ্নকর্তা অনেক সময়ই নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ব্যাপারে শুনতে চেয়ে থাকেন। এই বিষয়টি ধারণা করে যথাযথ উত্তর দিতে পারলে ইন্টারভিউ বোর্ডের কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করাটা অনেকাংশেই সহজ হয়ে যায়। সেকারণে ইন্টারভিউ দিতে গেলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নকর্তাদের সকল প্রশ্ন কথোপকপনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে।

৫) সবসময় সাবলীলভাবে কথা বলুন

সাবলীলভাবে কথা বলতে পারা ইন্টারভিউ বোর্ডের মূল দক্ষতাগুলোর মাঝে একটি। বাংলা হোক অথবা ইংরেজি, যেকোনো ভাষাতেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় অথবা কথা বলার সময় অত্যন্ত সাবলীলভাবে বলতে হবে। কথা বলার মাঝে আটকে যাওয়াটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাসের অভাব হিসেবে ধরা হয়। যা চাকরির ইন্টারভিউতে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব তৈরী করতে পারে।

নবীনতর পূর্বতন